গণবাণী ডট কম:
রাজধানীর মিরপুর ৭ রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকার মোড়ে বস্তিতে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ২৪ ইউনিটের সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে বস্তির কয়েক হাজার ঘর ও যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ আহত হয়েছেন বলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন (মেইনটেনেন্স) লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি জানান,তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর বলা যাবে। পানির স্বপ্লতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ আগুন নেভানো হয়েছে। ৩০ ভাগ নির্বাপন করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪টি ইউনিটের প্রায় ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসী কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে পানি সংকট দেখা দিলে আশেপাশের বহুতল ভবনের রিজার্ভ ট্যাঙ্কিতে পানির পাইপ লাগিয়ে মেশিনের সাহায্যে ঘটনাস্থলে পানি সরবরাহ করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।সাড়ে ৩ ঘন্টারে চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।
জানা যায়, ওই এলাকার পাশাপাশি রূপনগর বস্তি, চলন্তিকা বস্তি ও ৭ নম্বর আরামবাগ বস্তি রয়েছে। তিনটি বস্তির মাঝে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায় ১০ হাজারের মতো ঘর রয়েছে বস্তি গুলোতে। এসব ঘরে প্রায় ৫০ হাজারের মতো মানুষের বাস। ঈদ উপলক্ষ্যে অধিকাংশ ঘরের বাসিন্দারাই ঢাকার বাইরে। তালাবদ্ধ ঘরগুলোতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘরের আসবাবপত্র প্রায় সবই পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্যা, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সরকারের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থ ছুটে যান। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারিতে ভারি হয়ে গেছে বাইরের পরিবেশ। এসময় চলন্তিকার মোড়ের সবকটি রাস্তায় সাধারণ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।