কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভিতরে প্রবেশের প্রধান সড়কটির বেহাল অবস্থা। সড়কটিতে পানি জমে খানা খান্দকের সৃষ্টি হওয়ায় এখন এটি পরিত্যক্ত হিসেবে রয়েছে। এ যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার।
জানা যায়, ৩৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত কাপাসিয়া উপজেলায় ৪ লাখ লোকের বাস। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ উপজেলার প্রায় সকল সরকারী অফিস কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে অবস্থিত। প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে সরকারি সেবা গ্রহণের জন্য উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন থেকে শত শত লোক আসে উপজেলা পরিষদে। এছাড়া উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন। সেবা নিতে আসা এবং সেবাদানকারী উভয় তরফের লোকজন এই সড়কটি প্রতিদিন ব্যবহার করেন। এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি অফিসারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। যে কোনো সরকারি সেবা গ্রহণ করতে উপজেলায় আসার কোনো বিকল্প নেই। এত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি চলতি বর্ষার শুরু থেকে অদ্যাবধি পানি জমে পানির নীচে পাকা সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে সড়কা নষ্ট হয়ে বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে অনেকে চলতে গিয়ে রিকশা থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। অনেকে মনে করেন, পানির নীচে পাকা সড়ক তাই চলে যাওয়া যাবে কিন্তু দেখা যায় গর্ত থাকায় সেখানে পড়ে যান এবং আহত হন। এ অবস্থা থেকে নিস্তার লাভের জন্য একটি লাল পতাকা টাংগিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু সড়কটি উন্নয়ন করতে না পারলেও একটি ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিলে বর্ণিত দূর্ভোগ লাঘব হতে পারে। এখন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগটিও নেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ জনগণ এবং কর্মরত লোকজনের দুর্ভোগ এখন নিত্যসঙ্গী। যারা উপজেলার জনগণের সেবা দিবেন এবং উন্নয়নের কাজ করবেন তাদের চোখের সামনের সড়কটির দুরবস্থা দেখলে উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের দক্ষতা এবং বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভেবেছি, সড়কটি উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একটি ড্রেন করে সড়কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটি আমরা খুব শিগগিরই করে দিব।