গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ধান গবেষণা ইনস্টিটিটিউট এলাকায় ছুড়িকাঘাতে কলেজ ছাত্র খুন ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে আসামীরা নিজেদের জড়িয়ে ও অন্যান্য আসামীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে।
নিহত কলেজ ছাত্রের নাম আল আমিন ওরফে আশিক (১৯)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকার বাসিন্দা আক্তার আলীর ছেলে। আল আমিন স্থানীয় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, জিএমপির বাসন থানাধীন যোগীতলা এলকার আমজাদের ছেলে সুমন (২০) এবং চান্দুনা পূর্ব পাড়ার শ্যামল চৌধুরীর ছেলে অংকন চৌধুরী শিখরকে (১৮)। গেল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তথ্য প্রযুক্তিও সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জিএমপি সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নৈয়দ রাফিউর করিম জানান, গত ৪ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কতক বন্ধুকে সাথে নিয়ে নিহত কলেজ ছাত্র সদর থানাধীন ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে ঘোরাফেরা ও ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫ জন আসামী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাদের কাছে আসে। পরে তারা আল আমিন ওরফে আশিককে কিল, ঘুষি মেরে তার সঙ্গীয় শাকিলের নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং নিহত আল আমিনের একটি মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এসময় আল আমিন বাধা দিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদেরে একজন জন আল আমিনের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ফিনকি দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সাথের অন্য সঙ্গীয়রা ডাক-চিৎকার শুরু করলে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোনসহ দ্রুত দৌড়ে ওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পরে ভিকটিমের সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন মৃত্যুবরণ করে। পরে এ ঘটনায় মৃত আশিকের বাবা মো: আক্তার আলী বাদী হয়ে সদর মেট্রো থানায় খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, সদর থানা পুলিশের বিভিন্ন টিম এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে জড়িতদের ৭ মে রাতে বাসন থানাধীন যোগীতলা এলকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়ি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।