গণবাণী ডট কম:
বাল্য বিয়ের ৯দিনের মাথায় পরিবারীক কলহের জের ধরে অভিমানী স্বামী ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে বাল্য বধূ ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অচেতন অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে গেল বুধবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায়।
মৃত স্বামীর নাম মাসুম মিয়া (২১)। সে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের নয়া সাঙ্গুন গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে। সে রাজমিস্ত্রি সহকারী হিসাবে কাজ করত। আার অচেতন স্ত্রীর নাম আকরামা (১৬)। সে একই গ্রামের আব্দুল বাতেনের মেয়ে। আকরামা স্থানীয় সুলতানপুর মামুনিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)’র সদর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত ৪ অক্টোবর মাসুম ও আকরামাকে তার পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ভালবেসে পরিবারের বিয়ে করে। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে মাসুম গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকার রাশেদের বাসায় ওঠে। সে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। তাদের প্রেমের এ বিয়ে আকরামার পরিবার মেনে না নেওয়ায় মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে মাসুম। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নবদম্পতির মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা উঁকি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাসুমকে ঝুলে থাকতে দেখে। এসময় আকরামা অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়েছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমকে মৃত ঘোষণা করেন। অচেতন অবস্থায় আকরামাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি। বুধবার হাসপাতালের মর্গে মৃত স্বামীর ময়না তদন্ত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় ক্ষুব্ধ আকরামা ঘুমের একাধিক টেবলেট খেয়ে ফেলে। স্ত্রীকে ঘুমের টেবলেট খেতে দেখে তার সঙ্গে অভিমান করে ঘরের আড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে মাসুম মিয়া।