গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে যাত্রীবেশে অটো রিকশা ভাড়া করে নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অটো রিকশার চালককে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত মুল আসামীকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নিহত মোঃ আল আমিন (১৫)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার আয়নাপুর (নাচন মহুরী) গ্রামের মোঃ ফরহাদের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী শান্তিবাগ ফজলুর রহমানের বাড়ীতে ভাড়া থাকত।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মোঃ হোসেন (৩০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, গত ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে শিমুলতলী বাসষ্ট্যান্ড হতে হাতিয়াবো যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোঃ আল আমিনকে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ হোসেনসহ তার সহযোগীরা ৩শ টাকা দিয়ে ভাড়া করে। শিমুলতলী বাসষ্ট্যান্ড হতে হাতিয়াবো যাওয়ার সময় জিএমপি সদর থানাধীন ময়লারটেক নামক স্থানে পৌঁছলে আসামীরা কৌশলে ডিসিষ্ট আল আমিনকে ময়লারটেক হতে পূর্ব দিকে গজারী বনের ভিতরে ইটের সলিং রাস্তায় নিয়ে গিয়ে রাত ৮টার দিকে অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে অটো চালক আল আমিনকে অটোরিকশা হতে নামিয়ে উপর্যুপরি চাকু দিয়ে শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং গলায় জবাই করে হত্যা করে। পরে নিহতের বড় ভাই মোঃ রাব্বি সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ১ বছর ১৮ দিন পর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে অত্র মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার উপর ন্যাস্ত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পিবিআই গাজীপুর জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনা এবং পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সহযোগিতায় মামলাটি তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামলার আসামী মোঃ হোসেন গত ২৬ জানুয়ারি সদর থানাধীন ভাওয়াল গাজীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার পূর্বক পিবিআই গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে হাজির করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে মোঃ হোসেনকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে একই দিন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে সে নিজেকে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম উল্লেখ করে সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামী তার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করে যে, ভিকটিম এর অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে অটো রিকশাটি ভাড়া নিয়ে নির্জন গজারী বনের মধ্যে নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং গলায় জাবাই করতঃ হত্যা করে। আসামীর প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ফলে এ হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।