গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর মধ্য ছায়াবিথী এলাকায় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রকে সালাম না দেয়ার ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে গলা কেটে এক সেনেটারী মিস্ত্রিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত সেনিটারি মিস্ত্রির নাম সাদেক হোসেন (৩২)। তিনি শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার বাঁকাকোড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় আশিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া। মৃত সাদেক পেশায় একজন সেনেটারী মিস্ত্রি ছিলেন।
জিএমপি’র সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুর শহরের মধ্য ছায়াবিথী এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে সেনেটারী মিস্ত্রির কাজ করতেন সাদেক হোসেন (৩২)। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মধ্য ছায়াবিথী এলাকার গোপাল জেনারেল স্টোর নামক মুদি দোকানের সামনে সালাম না দেয়ায় কাওসারের সাথে সাদেকের কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে কাওসার তার সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে সাদেককে ধাওয়া করে। পরে স্থানীয় আশরাফ উদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে পৌঁছেলে কাওসার উত্তেজিত হয়ে চাপাতি দিয়ে সাদেকের গলার ডান পাশে সজোরে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। সাদেক গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
কাউসার (২০) মহানগরীর পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে। সে এ বছর আজিম উদ্দিন কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় অটো পাস করেছে। সে পরিবারের সঙ্গে মধ্য ছায়াবিথী এলাকার বাসায় থাকে।
এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাওসারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।