গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে বিশ্ব মহামারি করোনার ক্রমবর্ধমাণ সংক্রমণ রোধ করতে সরকারের ১৮ দফা নির্শেশনা বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসচেনতা বৃদ্ধি এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) এ লক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ বাজার ও তরগাও মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা।
এসময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার উপর জোর দেয়া হয়। এ লক্ষে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামুল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এসময় সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাস্ক পরিধান না করায় সংক্রমণ রোগ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১৫ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ বিকেল ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান ও জনসচেতনতা তৈরিসহ সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন,২০১৮ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় জয়দেবপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে কাঁচাবাজার হয়ে জয়দেবপুর বাজারের শপিং মলগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। বাস স্ট্যান্ড, কাঁচাবাজার ও শপিং মলগুলোতে মাস্ক পরিধানের বাধ্যতামূলক সম্প্রচার ও জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। শপিংমলগুলোতে যে সব ক্রেতা ও দোকানদাররা মাস্কবিহীন ছিলেন তাদের জরিমানা করা হয় এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী দেওয়া হয়। এসময় জয়দেবপুর বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে খাবারে নিম্ন মানের রং মিশানো, এ্যামোনিয়া মিশানো ও মেয়াদবিহীন খাবার সংরক্ষণ করার অপরাধে জরিমানা করা হয়। সর্বমোট ১০টি মামলায় ২১ হাজার ৯শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এসব অভিযানে ব্যাটালিয়ন আনসার, জেলার কাপাসিয়া থানা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যগণ সহায়তা করেন।