গণবাণী ডট কম:
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগে অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা সংকট পরিস্থিতির ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত কক্সবাজারে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইনের এ আশ্বাস দেন। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ব্লু-ইকোনমি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুইদিনব্যাপী সম্মেলন ২০১৯ এ যোগদানের জন্য তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন। ৪ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে আসার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মেরিস পেইন মিয়ানমার সফর করেন।
বৈঠককালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন পুনঃব্যক্ত করায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে।’ তিনি আন্তর্জাতিক তদারকিতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জবাবে পেইন জানান, কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তিনি বাস্তব ও মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি অনুধাবন করেছেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি,স্থিতি ও সমৃদ্ধি জোরদারে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
মোমেন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ক্রমশ বাড়ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশীদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের নির্দেশনা রিভিউ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাই-কমিশনে ভিসা অফিস পুনরায় চালুর অনুরোধ জানান। সম্প্রতি এই অফিস দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি মোমেন ঢাকা বিমান বন্দরের এভিয়েশন নিরাপত্তার মান উন্নয়ন করায় এয়ার কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় পেইন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ এসব অনুরোধ বিবেচনা করবে এবং এ বিষয় বাংলাদেশকে জানাবে।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।