গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৬৩৬ জন। তাদের মধ্যে ৬২৮ জন তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকালে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন গাজীপুরের জেলা প্রসাশক ও নির্বচানের রিটার্ণিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
নির্বচানের রিটার্ণিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন,নির্বচানে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা (মোটর সাইকেল) ৩৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম (আনারস) ২৯৪ টি ভোট এবং মোঃ সামসুদ্দিন খন্দকার (চশমা) ৩টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এ পদের একটি ভোট বাতিল করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ছয়টি কেন্দ্রে ১২টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮৪জন ও মহিলা ১৫২জন। নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ৫টি, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সংখ্যা ২টি।
গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন, সাধারণ সদস্য পদে ২০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। তাদের মধ্যে সাধারণ সদস্য পদের ২০ প্রার্থীর মধ্যে ৬ প্রার্থীর ঝুড়িতে একটিও ভোট পড়েনি। এছাড়া এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ১৫ সদস্য প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, মোট ৬৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা ৩৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম (আনারস) ২৯৪ টি ভোট এবং মোঃ সামসুদ্দিন খন্দকার (চশমা) ৩টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এ পদের একটি ভোট বাতিল করা হয়েছে।
জেলা নির্বচান কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, শূন্য ভোট পেয়েছেন ৬ প্রার্থী। ২নং ওয়ার্ডে ৫১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো: আমিনুর রহমান। এ ওয়ার্ডে দেওয়ান মো: শহিদুজ্জামান, আব্দুল বারেক,মো: তোফাজ্জল হোসেন মৃধা ও মো. মঈনুল হোসেন কোন ভোট পাননি।
৩নং ওয়ার্ডে ৫৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো: আব্দুস ছালাম। এ ওয়ার্ডে মো. নুরুল ইসলাম ও মো. শফিকুল ইসলাম দুলু কোন ভোট পাননি।
তিনি আরো জানান, শূন্য ভোট ছাড়াও কোনো প্রার্থী যদি কাস্টিং ভোটের বা প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ (আট ভাগের এক ভাগ) ভোট না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৬২৮টি। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ ভোট পাওয়ায় মোঃ সামসুদ্দিন খন্দকারের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে শুন্য ভোট পাওয়া ৬ প্রার্থী এবং নির্দিষ্ট সংখ্যার কম ভোট পাওয়ায় আরো ৮ জন মোট ১৫ সদস্য প্রার্থী নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে প্রদত্ত ভোট ৩০৮টি। এখানে জামানত হারিছেন ৪ জন। এরা হলেন,ফাহিমা আক্তার হোসনা (১৪ ভোট), হাছিনা বেগম (২৪ ভোট) ও হালিমা আক্তার (৪ ভোট)।সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২ নং ওয়ার্ডে প্রদত্ত ভোট ৩১৮। এখানে ১৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন আসমা আক্তার।
সাধারণ সদস্য পদে শুন্য ভোট পাওয়া প্রার্থীদের ছাড়াও আরো যারা জামানত হারিয়েছেন তাঁরা হলেন,
সাধারণ ২ নং ওয়ার্ডে প্রদত্ত ভোট ১৩০টি। এখানে কাজিম উদ্দিন (২ ভোট) ও আলতাফ হোসেন (১ ভোট) পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
সাধারণ ৪ নং ওয়ার্ডে প্রদত্ত ভোট ১৪৬টি। এখানে এস এম সালাহ উদ্দিন (৩ ভোট) ও ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা (১৫ ভোট) পেয়ে জামানত খুইয়েছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণার সময় জেলা নির্বচান কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্ণিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরিন পারভিন, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আমানত হোসেন খানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এসময় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লাসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।