গণবাণী ডট কম:
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন ডিজিটাল হওয়া নিয়ে চিন্তা করছেন না। তিনি এখন বাংলাদেশকে দেশবাসীর কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে উপহার দেওয়ার চিন্তা করছেন। তিনি চান, বাংলাদেশের নাগরিকরাও উন্নত দেশের জনগণের মতো স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠুক।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ মাঠে ‘শিক্ষিত কর্ম প্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সনদপত্র বিতরণ ও জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়াহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি এবং এই ফ্রিল্যান্সাররা ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এতে আমাদের দেশে ডলারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্প চলাকালে আমাদের প্রশিক্ষণার্থীরা প্রচুর ডলার আয় করছে। ভবিষ্যতে সারা দেশে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া এই জব ফেয়ারে ২০০ জনকে চাকরির সুযোগ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি জেলায় তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬৪০০ জন। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলায় এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বিদেশ হতে কর্মচ্যুত হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের কারণে বেকারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শিক্ষিত যুবদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে দেশে বেকারের সংখ্যা ও দারিদ্রতা উভয়ই হ্রাস পাবে। তাই শিক্ষিত যুবদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
পরে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। চাকরি মেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় ২০০০ জন চাকরি প্রত্যাশী আবেদন করেছেন যেখান থেকে বাছাই করে ২০০ জনকে চাকরি দেয়া হবে।
মন্তব্য