গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছর এলাকায় ভেজাল সস তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ ভেজাল সস, সস তৈরির রাসয়নিকসহ বিভিন্ন উপকরণ, পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীরা হলো মোঃ সাহাবুল (৪৪), মোঃ জসিম (৩৫), মোঃ শান্ত (২০), মোঃ রাহাত (২১), মোঃ মিশন মিয়া (২০) ও মোঃ জাহাঙ্গীর (১৮)।
অভিযানের সময় ভেজাল টমেটো সস ভরা ৫ লিটারের ৫১৯টি জার, ভেজাল তেতুঁল সস ৫ লিটারের ১০৫টি জার, সাইট্রিক এসিড, রাসয়নিক টেস্টিং এজেন্ট ০৫ কেজি, মরিচের গুড়া ১ বস্তা, আটা ১ বস্তা, বার্লি ৪ বস্তা, লবণ ১ বস্তা, কৃত্রিম রং, কৃত্রিম ফ্লেভার, সস বিক্রির বিজ্ঞাপনের লেবেল-স্টিকার, মিশ্রণের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ড্রাম, বালতি, মগ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এসব পণ্য পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
জিএমপির সকরারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো: আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গেল বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছর এলাকায় ইসলামীয়া সস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ ভেজাল সস, সস তৈরির রাসয়নিক, অন্যান্য উপকরণ, পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালননার সময় দেখা যায়, টমেটো ও তেতুদের উপস্থিতি ছাড়াই শুধুমাত্র সাইট্রিক এসিড ও রাসায়নিক টেস্টিং এজেন্টসহ আটা, বার্লি, রং, মরিচ গুড়া দিয়ে সস তৈরি করা হচ্ছে। সস তৈরির জন্য আটা ও বার্লির মিশ্রণে মরিচের গুড়া, রং ও কেমিক্যাল মিশ্রণ করে চুলায় গরম করা হয়। গরম মিশ্রণটি বালতিতে ঢেলে ঠান্ডা হলে টমেটো এবং তেতুলের সুগন্ধের জন্য সাইট্রিক এসিড মিশ্রিত করা হয়। বালতি থেকে সাধারণ মগ ব্যবহার করে হাত দিয়ে লাল রংয়ের ৫ লিটার প্লাস্টিক জারে ঢেলে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে প্যাকেজিং ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিপনন করা হয়।
তিনি আরো জানান, ধৃত আসামিরা জানায় তাদের সরকারি কোনো দপ্তরের অনুমোদন নেই এবং তারা গোপনীয়ভাবে উক্ত ইসলামীয়া সস ফ্যাক্টরী পরিচালনা করে আসছিল।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইব্রাহিম হোসেন জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী ও কারখানার পলাতক মালিকসহ ৯/১০ জনের নামে থানার উপ পুলিশ পরিদ্শক নাদিরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।