গণবাণী ডট কম:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মাঝে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্ণিং কর্তকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সোমবার প্রতীক বরাদ্ধ করেছেন। প্রতীক পেয়ে সেই কার্যালয় থেকে বের হয়ে আচরণবিধি লংঘনের অপরাধে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর ৩ সমর্থককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৫টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্ধী ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি গ্রহণ করেন। রিটার্ণিং কর্তকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব চিঠি প্রদান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর-১ আসনের অপর আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল ও গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন নিজে উপস্থিত থেকে নিজের প্রতীক বরাদ্দের চিঠি গ্রহণ করেন। পরে তারা তাদের অনুসারী নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন। তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের জয়দেবপুর-রাজবাড়ী সড়কে পৌছালে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক ছবি ও প্রতীক সম্বলিত পোস্টার ও লিফলেট নিয়ে সড়কে শ্লোগান দিতে শুরু করে। এসময় ঐ সড়কে প্রায় আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন ও গাজীপুর-১ আসনের অপর আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল তাদের নিয়ে পাশের রাজবাড়ী মাঠে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ঐ মাঠে বিজয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত মঞ্চে আরোহন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের ৩ সমর্থককে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের জন্য মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর আলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ লঙ্ঘন করে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ ও মোটর শোভাযাত্রা করার অপরাধে ৩ টি পৃথক মামলায় অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমাইয়া মমিন ও সহকারী কমিশনার মো: হাসিবুর রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাসিবুর রহমার রাব্বি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৮(ক) অনুযায়ী একজনকে ২০ হাজার টাকা, বিধি ১৩ অনুযায়ী একজনকে ১০ হাজার টাকা এবং বিধি ৬(গ) অনুযায়ী অপর একজনকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।