গণবাণী ডট কম:
জ্ঞাত আয়ের অতিরিক্ত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রাখার দায়ে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে এএসপি) ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার মামলা দুটি দায়ের করেছেন, দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সেলিম মিয়া। মামলায় ঘটনার সময়কাল দেখানো হয়েছে ২০১৯ সালের ৪ঠা জুলাই।
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সেলিম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামী হলেন, গাজীপুরের সাবেক টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত ককর্মকর্তা গাজী রুহুল ইমাম। তিনি বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত। তিনি বাগেরহাট জেলার সদর থানার হরিনখানা এলাকার মৃত গাজী আব্দুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করেন। অপর মামলায় আসামী তার স্ত্রী আসমাউল হুসনা উল্কা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গাজী রুহুল ইমামের বৈধ গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ দাড়ায় স্থাবর ৭০ লাখ ১৩ হাজার ৬৭২ টাকা এবং অস্থাবর ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৯১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭২ টাকা। অপরদিকে, তার অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় স্থাবর ৮১ লাখ ৬ হাজার ১০৭ টাকা এবং অস্থাবর ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪০ টাকা। অর্থাৎ তিনি ১৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ টাকা টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অপর মামলায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, আসমাউল হুসনা উল্কার বৈধ গ্রহণযোগ্য আয়ের গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ স্থাবর ১৭ লাখ ৫০ হাজার ও অস্থাবর ২০ লাখ টাকা, স্বামীর কাছ থেকে ঋণ ৮ লাখ টাকা, খামার ও ব্যাংকসুদ থেকে আয়সহ মোট ৫৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮শত টাকা। অর্থাৎ আসমা উল হুসনা উল্কা ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।