গণবাণী ডটকম:
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের মাধ্যমে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। মেধার ভিত্তিতে পুলিশের কনস্টেবলনিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে প্রশংসিতও হয়েছেন।সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ সরাসরি শুনে সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই তিনি জেলার নাগরিকদের আস্থাঅর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। নারীও শিশু নির্যাতন, বিভিন্ন অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভুমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।সর্বশেষ অভিবাদনের তিলক যুক্ত হয়েছে কোনো ধরনের অনিয়ম, দূর্ণীতি বাবাণিজ্যের সুযোগ না দিয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধার ভিত্তিতে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
গাজীপুর জেলায় এ নিয়োগে কোন তদবির বা অন্য কোন অসদুপায় অবলম্বন করার কোন সুযোগ রাখা হয়নি। সরকার নির্ধারিত শুধু ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটসহ মাত্র ১০৩ টাকা খরচকরে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পুলিশ কনস্টেবল পদে ঘুষ ছাড়া চাকুরী দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। সোনার হরিণ খ্যাত সরকারি চাকুরী পেয়ে খুশী হতদরিদ্রপরিবারের সন্তানরা।নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেলা পুলিশের এমন আচরণে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পুলিশের নিয়োগ প্রাপ্তরা। তারা জানিয়েছেন, নিয়োগের জন্য তাদের কোনো পর্যায়ে কোনোটাকা দিতে হয়নি। প্রত্যাশার বাইরে পেয়েছেন ভালো ব্যবহার। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষার সময় পুলিশ সদস্যরা খুব ভালো ব্যবহার করেছেন। কোথায় গিয়ে কি করতে হবে তা জিজ্ঞেসকরতেই পুলিশ সদস্যরা দেখিয়ে দিয়েছেন।
পুলিশ লাইনে ব্রিফিং কালে পুলিশ সুপার বলেন, ১৮৩ জন সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছো কোন অর্থ বা সুপারিশের বিনিময়ে নয় সুতরাং নিজেদের প্রতি সম্পূর্ণআতœবিশ্বাস রেখে সততার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের মান সমুন্নত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমাদের জন্য অনেক দোয়া ও আর্শিবাদ রইল।