গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় এলাকা থেকে ৩ হাজার ৯৪৬ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় ফেন্সিডিল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের একটির টহল দল মহানগরীর বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় মাম সিএনজি পাম্পের সামনে গত ৭ নভেম্বর রাত আড়াইটায় অভিযান অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার মো. আবু সাঈদ (২৮) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ফতেপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় এলাকা মাম সিএনজি পাম্পের সামনে ওই কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশী করে ৩ হাজার ৯৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার একশ টাকা ও দুটি মোবাইল উদ্ধার ও পরিবহনটি জব্দ করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে তিনি ফেনসিডিলের চালানটি নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি মাদক চোরাচালানী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। সহযোগীদের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে ফেনসিডিলের চালান ঢাকায় নিয়ে আসে তারা। মাদক পরিবহনের জন্য এই মাদক চোরাচালানকারী চক্রের একাধিক কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক রয়েছে, যেগুলো নামমাত্র পণ্য পরিবহন করলেও তাদের প্রধান উদ্দেশ্য মাদক পরিবহন করা।
আবু সাঈদ আরও জানায়, ১০ বছরের অধিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালিয়েছেন তিনি। মাদক চোরাচালানকারী সিন্ডিকেটের প্রলোভনে পড়ে তিনি তাদের সঙ্গে যুক্ত হন; চাকরি ছেড়ে শুরু করেন কাভার্ডভ্যান চালানো। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তিনি জব্দ করা কাভার্ডভ্যানটির চালক; যেটি পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করার জন্য ক্রয় করা হলেও মাসের অধিকাংশ সময় গ্যারেজেই পড়ে থাকে।
শুধুমাত্র মাদক পরিবহনে সময় বের করা হয় এবং মাদকের চালান হস্তান্তর করার পর ফিরতি পথে মাঝে মধ্যে পণ্য পরিবহণ করা হয়। ইতোপূর্বে এই গাড়িটি দিয়ে ১০-১৫টির বেশি মাদকের চালান ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় আনা হয়েছে বলেও সমূহে সরবরাহ করেছে বলে জানায়। সে চালানপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকে বলে জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাঈদ স্বীকার করেছেন।