গণবাণী ডট কম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশন এলাকায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হবার খবর পেয়ে রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার সকালে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থর পরিদর্শন শেষে সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলের দুটি কমিটি : রেলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। রেলের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে চার সদস্যের অপর কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
জেলা প্রশাসনের কমিটি : জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
রেল সচিব জানান, ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটি ট্রেনের সিগন্যাল অমান্য করার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেল সচিব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৫৩ মিনিটের দিকে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ১৫ জনে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যাত্রী ও স্থানীয়রা জানায়, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে ট্রেনটি থামার মুহূর্তে সিগন্যান অমান্য করে ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ১৫ জনের সবাই উদয়নের যাত্রী ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে নয়টি লাশ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
মন্তব্য