গণবাণী ডট কম:
ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বন্যায় আসামের ৫২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এছাড়া এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় আসামের ৩০টির বেশি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। ৪ হাজার ৬শ’ গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে দেড় লক্ষাধিক লোককে আশ্রয় শিবিরে হস্তান্তর করা হয়েছে। বহু জায়গায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, ঢেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, ডারাং, নলবাড়ী, চিরাং, গোলাঘাট, মাজুলি, জোরহাট, ডিব্রুগড়, নগাঁও, মরিগাঁও, কোকড়াঝড় বঙ্গাইগাঁও, বকসা এবং শোণিতপুরে টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বন্যার পানিতে আটকে পড়া নারী-পুরুষ-শিশুদের উদ্ধার করতে ২৪ ঘণ্টা অভিযান চলছে। একইসঙ্গে চলছে ত্রাণ কার্যক্রমও।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যার জন্য তৈরি করা বিশেষ প্ল্যাটফরমে বানভাসিদের পোষা প্রাণীদের রাখার সুযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের তত্পর থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।
বন্যাকবলিত এলাকায় যাতে প্রয়োজনীয় চিকিত্সাসেবার ব্যবস্থা থাকে তার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া পশুদের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ও তাদের খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করতে বলেন তিনি। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্ট।