কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকায় গত রবিবার রাতে বানার নদীতে বালুবাহী বলগেটের সাথে ধাক্কা লেগে ২২ যাত্রীসহ ইঞ্জিন চালিতি একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকা ডুবির পর ২১ জন যাত্রী সাঁতরে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠতে পারলেও তিথি চন্দ্র ধর (১০) নামে এক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের মৃত মতিলাল চন্দ্র ধরের মেয়ে। নিখোঁঝ শিশেুকে উদ্ধারে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের ডুবুরি দল দিনব্যাপী অভিযান অব্যাহত রাখলেও এখনো সন্ধ্যায়ও তার সন্ধান মেলেনি। নৌকা ডুবির ঘটনায় এক শিশু ও মাঝিসহ তিনজন আহত হয়েছে। এরা হলো; ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের বিশ্বনাথ ধর, তার ছেলে শ্রাবণ ধর (০৮) ও নৌকার মাঝি কমলেশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আহত শিশুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ৬ মাস বয়সী শ্রাবণ ধরের মুখে প্রসাদ দিতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এলাকার একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন বিশ্বনাথ ধর। সেখান থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় সিংহশ্রী এলাকায় পৌঁছালে বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষ হয়।
কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে সিংহশ্রী ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকায় বানার নদীতে বালুবাহী বলগেটের সাথে একটি যাত্রীবাহী নৌকার সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকাটি ডুবে যায়। যাত্রীরা টোক বাজার এলাকা থেকে ময়মনসিংহের পাগলা থানার পাতলাশীর দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি পাতলাশীর কাছাকাছি নয়ানগর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বলগেটের সাথে সংঘর্ষ লাগে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছার আগেই অধিকাংশ যাত্রী নয়ানগর ও পাতলাশী এলাকা দিয়ে সাঁতরে উঠে যায়। এ সময় তিথি চন্দ্র ধর নামে এক শিশু যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা রাতে সাঁতরে ও জাল ফেলে তার সন্ধান চালিয়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও শিশু তিথিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।