গণবাণী ডট কম :
ভারত শাসিত কাশ্মীরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জারি করা ১৪৪ ধারাও আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করার রায় দিয়েছে আদালত।
গত ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে, যেটি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ঘটনা।
গত বছরের ৫ই অগাস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার আগে ঐ অঞ্চলের ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ও ল্যান্ডলাইন সেবা বন্ধ করে ভারত সরকার।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকার বিরুদ্ধে করা আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার রায় দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি এনভি রামানা রায় পড়ার সময় বলেন, “কেবল বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইন্টারনেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।”
ভারতের সংবিধানে বর্ণিত বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তার সাথে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার অধিকার সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেন এই বিচারপতি।
তিন বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা ‘অনুমোদনযোগ্য নয়’ এবং এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা কেবল ‘সাময়িক’ হতে পারে।
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে কাশ্মীর অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যহত হয়েছে।
ঔপনিবেশিক আমলের আইনের ১৪৪ ধারা-যেই ধারা অনুযায়ী এক জায়গায় চার জনের বেশি একত্রিত হতে পারে না-সেই ধারা আরোপ করার সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করার রায় দিয়েছে আদালত।
আদালত রায় দিয়েছে যে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী বৈধভাবে মতপ্রকাশকে খর্ব করার’ জন্য এই ধারার ব্যবহার করা যাবে না।
এই ধরণের ধারা আরোপ করে, এমন সিদ্ধান্তও আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের সংসদ। ধারণা করা হচ্ছে যে ভারত শাসিত কাশ্মীরের ওপর ভারতের সরকারের নিয়ন্ত্রণ মজবুত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খবর : বিবিসি।