গণবাণী ডটকম:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি। বাংলাদেশের কষ্ট হলে, আমাদের মনে কষ্ট হয়। ভারতবর্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য হলো শুধু বর্ডারের দেয়াল, আর তেমন তফাৎ নেই। আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যতো নিবিড় হবে আমরাও ভালো থাকবো, আপনারাও ভালো থাকবেন।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় যোগদানের পর রোববার আখেরি মোনাজাত শেষে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় গাজীপুর পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মো: ইব্রাহিম খানসহ তাবলীগের সাথীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, তাবলীগের মেহনত খুবই গুরুত্বপূর্ণ মেহনত। তিনি বলেন, হাদীসে এসেছে, তোমরা আল্লাহর যত ক্ষুদ্র কথাই হোক না কেন তা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দাও। তাই দাওয়াতের কাজ অত্যন্ত দামী কাজ।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে, অবশ্যই ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে এবং আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করতে হবে। সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, লোহাকে উত্তপ্ত করে গরম লোহাকে আরেকটি ঠান্ডা লোহা দিয়ে কাটা হয়।
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে যে সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্ট নেয়া হয়েছে, এটাঁ অত্যন্ত দক্ষতা এবং দায়িত্ব পরায়নতার পরিচয় বহণ করে। এ অ্যারেঞ্জমেন্ট খুব সহজ নয়, যাতে প্রশাসন ও তাবলীগের ভাইয়েরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি এখানে কোনরকম বিশৃ্খংলা, চেচামেচি বা কোন অভদ্র আচরণ চোখে পড়েনি। এতবড়ো সফল ইজতেমা বাংলাদেশ সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জল করেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। মুসলমানদের হজ্জের পরে এতো বড়ো ইজতেমার সম্মিলন কোথাও হয়নি। এটা বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশী ভাইদের জন্য এবং তবলীগী ভাইদের গর্বের বিষয়। এটাঁ তাবলীগের একটা অবদান, যে তারা মানুষকে শৃঙ্খলমুখী করে।
এসময় তিনি ইজতেমা আয়োজনে সরকারের সহযোগীতার প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার উচিত তাদের (ইজতেমা আয়োজক) সাথে সুসম্পর্ক বঝায় রাখা। তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো। তাহলে বিপুল জনগোষ্ঠীর ভোট তার হাতে থাকবে।
তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দেয়া হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এতে কোন বাধা নয়। তিনি বলেন, আমি যতদুর জানি মমতা ব্যানার্জির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কলকাতায় যান। আপনারা সরাসরি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে না তুলে শিল্পী সাহিত্যিকদের মাধ্যমেও বিষয়টি মমতা দিদির কাছে তুলতে পারেন। তাহলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে।