গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন পানিশাইল এলাকার একটি ঘর থেকে মঙ্গলবার সকালে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, পানিশাইল এলাকার মোশারফ হোসেন (২৮), তার স্ত্রী হোসনে আরা (২২) এবং মেয়ে মোহিনী (২ মাস)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী সন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে।
মোশারফের বাড়ী রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ফকিরতরি এলাকায়। তিনি পরিবার নিয়ে পানিশাইল এলাকার সোনালী পল্লীতে সাদেক আলীর বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। মোশারফ গাজীপুরে রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতেন।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক কবির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঘরের দরজা খুলতে দেরি হচ্ছিল। এ অবস্থায় বাসার অন্য লোকজন তাদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ওই ঘরের ভেতর থেকে তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ঘরের ভেতর থেকে বিষের গন্ধ বের হচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকেও তাদের ঘরের দরজা না খোলায় এবং ডাকাডকির পরও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা জানালায় উঁকি দেয়। তারা মোশারফকে ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখে এবং মা-মেয়েকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
বাড়ির কেয়ারটেকার মো. কবির হোসেন ও তার স্ত্রী রেশমা বলেন, “সোমবার রাতে ঘরের ভেতর মোশারফ গাঁজা সেবন করেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার কলহ হয়েছিল।” হোসনে আরার ভাই মো. হাসান বলেন, “মোশারফ নেশা করতেন। এজন্য হাতে টাকা না থাকলে ঘরের জিনিসপত্র বেচে ফেলতেন।”
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ঘরের ভেতরে আড়ার সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো মোশারফ হোসেনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। নিচে বিছানায় পড়ে ছিল তার স্ত্রী হোসনে আরা ও মেয়ে মোহিনীর লাশ। তিনি আরো বলেন, ঘরের ভেতরে বিষের দুর্গন্ধ, বমি ও বাচ্চার দুধের ফিডার-বোতল পাওয়া গেছে। তিনি জানান, পারিবারীক কারণে মোশারফ তার স্ত্রী ও মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তাঁর। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।