কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সদ্য সমাপ্ত (২০১৮-১৯) অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা/কাবিটা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে লক্ষ্য অনুযায়ী উপজেলার গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বর্ষায় উপজেলাবাসীকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়নের অধীনে ২৩৪টি গ্রামের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা/কাবিটা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদ্য সমাপ্ত (২০১৮-১৯) অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই খাতে সর্বমোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৮৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা/কাবিটা) উন্নয়ন বাবদ গত বছরের ২১ অক্টোবর ১ম পর্যায়ে ২১টি এবং চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ২য় পর্যায়ে ১৭টি প্রকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে মোট ১৬০ দশমিক ৫৫ মে: টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩০ টাকা। অপরদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ১৫টি ও ১৩টি প্রকল্পে মোট ৮৯ দশকি ৭৮ মে: টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ১১৩ টাকা। অপরদিকে একই অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) উন্নয়ন বাবদ ১ম ও ২য় পর্যায়ে যথাক্রমে ৯৬টি ও ৬৫টি প্রকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে মোট ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২০ দশকি ৮৩ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ৩৮টি প্রকল্পে ২৩ লাখ মোট ৭৪ হাজার ১৬৪ দশকি ৪৩ টাকা ও ৩৬টি প্রকল্পে মোট ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৩৯ দশমিক ২১ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ও তাদের সঙ্গীয়দের যোগসাজশে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করে প্রকল্প সংশিøষ্টরা কোথাও বরাদ্দের পরিমাণ গোপন রেখে, কোথাও সম্পূর্ণ প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন না করে কিংবা নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে অথবা প্রকল্পে কোনো কাজ না করে, আবার কোথাও একই প্রকল্পের নামে দুইবার পৃথকভাবে বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন কৌশলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব প্রকল্প থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ১১ টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রকল্পেই বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ খরচ করা হয়নি এবং প্রকল্পের পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করে নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। আবার কোথাও একই এলাকাকে আংশিক পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক প্রকল্প দেখানো হয়েছে। কোথাও আবার একই প্রকল্পে দুইবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পকে টি.আর অথবা কাবিখা/কাবিটায় স্থান দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রকল্পের নামে টাকা উত্তোলন করা হলেও প্রকল্পগুলো এখনো (গত ২৫ জুলাই) পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি অনেক অস্তিত্বহীন কাল্পনিক প্রকল্পে বর্ণিত নামের কথা স্থানীয় লোকজন কোনোদিন শুনেনি এবং তার অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের ‘ইকুরিয়া পূর্বপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা হতে মোশারফ মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার ইটের সলিং’ প্রকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্যের টি.আর প্রকল্প থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বলেন, এ প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সঠিক তথ্য আমাদের জানানো হয়নি। বরং স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাদের বলেছেন, পি.আই.ও অফিসের খরচ ও অন্যান্য খরচ বাদে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা এখানে খরচ করা যাবে। তাই ৫৬ হাজার টাকা দিয়ে সাত হাজার ইট, ৩ হাজার ৬শত টাকা দিয়ে তিন ট্রলি বালু কেনা হয়েছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৮ হাজার টাকা খরচ করে ৮ প্রশস্ত বিশিষ্ট ১৭২ ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সমপরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সনমানিয়া ইউনিয়নের ‘ধানদিয়া গ্রামের কালীবাড়ি হতে ভবানীঘাট পর্যন্ত রাস্তা ইটের সলিং’ প্রকল্পে। যেখানে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করে দুইশত ফুটের একটু বেশি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। একই পরিমাণ বরাদ্দ রাখা হয়েছে রায়েদ ইউনিয়নের ‘দরদরিয়া গ্রামের গোসিংগা-আমরাইদ রাস্তা সংলগ্ন হাবিবুরের বাড়ি হতে আমানউল্লাহ হুজুরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং’ প্রকল্পে। এ রাস্তাটি কোথাও ৬ ফুট কোথাও ৭ ফুট প্রশস্ত করে ২শত ফুটের একটু বেশি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে যা আমানউল্লাহ হুজুরের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছেনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের টি.আর প্রকল্প থেকেই ‘আড়াল ঈদগাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণ’ প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা এবং ‘কোটামনি বাজার মসজিদের টয়লেট নির্মাণ’ প্রকল্পে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। কাল্পনিক ‘টোকনগর বনফুল আদর্শ গ্রামের পুকুরের পাড় প্যালাসাটিং করণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু টোকনগর বনফুল আদর্শ গ্রামের নাম এলাকাবাসী কোনদিন শুনেনি এবং এলাকায় অনুসন্ধান করে এ প্রকল্পের অ¯িÍত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। কড়িহাতা ইউনিয়নের ‘শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দির পরিচালনা পরিষদ এর উন্নয়ন’ বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এ প্রকল্পটি কোথায় অবস্থিত তা খুজে পাওয়া যায়নি। তবে প্রকল্পের নাম করণেই অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ‘ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ হতে দুদার বাড়ি হয়ে সালদৈ বাজার পর্যন্ত রাস্তা ইট সোলিং’ প্রকল্পে ১০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্থানীয় লোকজন জানায় এ প্রকল্পের মাঝখানে অনেকটুকু রাস্তা বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্প যুক্ত করে মোট চারশত ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। একই পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কড়িহাতা ইউনিয়নের ‘চরখামের পশ্চিমপাড়া মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়ি হতে পিপুলিয়ার টেক জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং’ প্রকল্পে। স্থানীয়দের অভিযোগ এ প্রকল্পে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রকল্পে বর্ণিত রাস্তার দৈর্ঘের অর্ধেক কাজও হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টি.আর থেকে ‘কাপাসিয়া উত্তরপাড়া মোশারফের বাড়ি হতে নজরুলের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা ইট দ্বারা উন্নয়ন’ প্রকল্পে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী এ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন এবং রাস্তাটি দুইশত ৫০ ফুটের মতো হবে বলে জানায়। অপরদিকে বারিষাব ইউনিয়নের ‘সিঙ্গুয়া বাজার প্রধান রাস্তা মাটি ভরাট’ প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তাতে মাত্র ৫ ট্রলি বালু ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যার স্থানীয় বাজার মূল্য ৫ হাজার টাকা বলে এলাকাবাসী জানায়। সনমানিয়া ইউনিয়নের ‘সনমানিয়া দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদ উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১ লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বরাদ্দের পরিমাণ গোপন রেখে মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেছেন এবং মসজিদের কাজ শুরু করলে আরো কিছু টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ইউনিয়নের ‘চরসনমানিয়া ইদ্রিসআলী প্রধানের বাড়ির পাশের জামে মসজিদ উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও সংশিøষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি প্রকৃত বরাদ্দের পরিমাণ গোপন রেখে মসজিদ কমিটিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রায়েদ ইউনিয়নের ‘হাইলজোড় পশ্চিমপাড়া পাকা রাস্তা হতে তোফাজ্জল মাস্টারের বাড়ি অভিমুখি রাস্তা সংস্কার’ প্রকল্পে ৪৪ হাজার ৪ শত ৮২টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় প্রকল্প সংশিøষ্টরা উক্ত টাকা দিয়ে কাজ না করে সরকারের চলমান অন্য প্রকল্প ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির’ তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। ‘নামা বারিষাব চৌরাস্তার মোড়ে লেট্রিন নির্মাণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাবিখা থেকে ‘টোক ইউনিয়নের সালুয়ারটেকি চেয়ারম্যান বাড়ির মসজিদ হতে বিটুর বাড়ির অভিমুখি রাস্তা ইট সলিং’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮.২০ মে.টন চাল যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা। প্রকল্পের মাধ্যমে টোক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে মাত্র ২শ ১৫ ফুট রাস্তায় তুলনামূলক কম দূরত্বে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হলেও নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ‘সালদৈ হযরত আলী মেম্বারের গোরস্থান হতে আকবরের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪.৯৫ মে.টন চাল যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা । এ প্রকল্পের একজন শ্রমিক জানান, তারা ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির’ তালিকাভুক্ত ১০ জন শ্রমিক মাত্র ৪ দিন কাজ করেছেন এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর রেখে প্রতিজনকে দৈনিক ৪ শত টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা মজুরি দেয়া হয়েছে। একই তালিকায় একই প্রকল্পের নামে উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নে ৫.০৩ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার সরকারি দর অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯০ টাকা। বাস্তবে যার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এসব অভিযোগের ব্যাপরে গত ২৫ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহ’র বক্তব্য জানার জন্য তার কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, তিনি বদলিজনিত কারণে বিদায় নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। পরে এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাপাসিয়া উপজেলার সকল প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত টাকা ও চাল উত্তোলন করা হয়েছে এবং কোনো কিছুই ফেরত যায়নি। তবে আমি এখনো কাজ সমাপ্তির প্রতিবেদন পাইনি। প্রতিবেদন পেলে অভিযোগের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।