গণবাণী ডট কম:
নভেল করোনা ভাইরাস ( কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান সাধারণ ছুটি, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের রাখার লক্ষে এবং দারিদ্র সীমার নীচের নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কমমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করতে বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি নির্ধারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে রবিবার থেকে সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরেও এ বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাউল ও আটা বিক্রয় শুরু হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় টঙ্গীর হোসেন মাকের্ট এলাকায় কর্মসূচির আওতায় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম (বার)। এসময় আরো উপস্থিত গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: মশিউর রহমান, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চলমান অঘোষিত লক ডাউনের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষ যাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষকে (দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায় সহ অন্যান্য) এই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এনে এই দুর্যোগের সময় তাদের পাশে থাকাই সরকারের মূল লক্ষ্য। তারা যাতে খাদ্যাভাবে না পড়ে সে জন্য গাজীপুরের সদর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, পূবাইলসহ বিভিন্ন স্থানে ১০টা কেজি দরে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রতি মাসে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাউল ও আটা নিতে পারবে।
চাউল বিক্রি করার সময় প্রচুর লোক সমাগম হলেও সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দুরত্ব বঝায় রেখে শৃংখলার সাথে চাউল ও আটা বিক্রয় করা হয়। পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বলেন, আজ থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ ১০ টাকা কেজিচাল ও আটা ক্রয় করতে পারবে।