গণবাণী ডট কম:
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে শনিবার সকালে বসানো হলো ২৮ তম স্প্যান। এ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে মাদারীপুর আর মুন্সীগঞ্জ জেলার মাঝে তৈরি হল সেতুবন্ধ।
সেতুর ২০ তম স্প্যানের অবস্থান মুন্সীগঞ্জ জেলায় এবং ২১তম স্প্যানের অবস্থান মাদারীপুর জেলায়। দুই পিলারের মাঝ বরাবর পদ্মা নদীতে দুই জেলার সীমানা ভাগ হয়েছে। এ স্প্যানটি ২০ ও ২১তম পিয়ারের উপর স্থাপন করা হয়েছে। আর এটি সেতুর ৪১টি স্প্যানের একেবারে মাঝখানে, যার দুপাশে ২০টি করে স্প্যান থাকছে। ২৮ তম স্প্যানটি স্থাপনের ফলে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দৃশ্যমান হল। আর বাকি রইল ১৩টি স্প্যান স্থাপনের কাজ।
বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, এই স্প্যান বসানোর পর জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী রয়েছে। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে “৫এ” ও “৫বি” নম্বর স্প্যান বাকী থাকবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। সর্বশেষ ২৬ নম্বর পিলারটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিঘ্রই স্প্যান বসবে।
গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর পিলার বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব পিলার সম্পন্ন হয়েগেছে। এছাড়া চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসানোর কথা রয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়ায়। যার ২৭টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়ে গেছে। অপর ২টি স্প্যান চীন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের আরো জানান, পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। বাইরে কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন।