গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীতে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজার আঞ্চলিক অফিস থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান মেয়র।
এতে তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যে ওয়ার্ডে করোনা রোগী বা করোনাভাইরাস নেই, সেসব ওয়ার্ডে বা সেসব এলাকায় মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া যাবে।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর জেলা এই দুটি প্রশাসনিক এলাকা নিয়েই গাজীপুর বলা হয়। আমাদের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের অনেক এলাকার থেকে করোনা পজিটিভ কম। আমরা আমাদের নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। গাজীপুরে বিজিএমইএ যেভাবে গার্মেন্টস চালু করে দিয়েছে, সে হিসেবে আমাদের যে মসজিদ আছে- আল্লাহর ঘর, যেহেতু রমজান মাস আমরা সকলে রোজা রাখি- সেই হিসেবে আগামী শুক্রবার থেকে যেসব ওয়ার্ডে কোনো করোনা ভাইরাস নাই, সেসব এলাকায় মসজিদ ভিত্তিক মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।
‘তারাবির নামাজ পড়তে চাইলে মসজিদে গিয়ে পড়তে পারবেন। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা অনুরোধ করব- বাইরের কোনো লোক যেন আমাদের এসব এলকায় না আসে এবং আমাদের লোকও যেন এই মুহূর্তে কোথাও না যায়। আমাদের নগরে আমরা সবাই নিরাপদে থাকব। আমাদের পরিবার ও সন্তানদের নিরাপদে রাখব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমরা মানুষকে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছি। যেগুলো সরকারের পক্ষ থেকে আসবে আমরা সব কিছুই মেনে চলব।
‘যেহেতু গার্মেন্টস চালু হয়েছে, আমাদের মসজিদগুলোও চালু থাকা দরকার। ঈমানদার মানুষ যারা আছেন, সবারই নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা প্রয়োজন। আল্লাই আমাদের এটা থেকে মুক্তি দেবে।”
এদিকে তার এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যআমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদ খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তবে নগর পিতা হিসেবে মেয়র সাহেব তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে নামাজ আদায়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মসজিদে কোনো জামাতে পাঁচজনের বেশি মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন না। জুমার নামাজে অংশ নিতে পারবেন দশ জন। এ সময় মুসল্লিদের নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করতে বলা হয়।
এছাড়া ২৪ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়, রমজানে এশার জামাতে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম এবং দুজন হাফেজসহ ১২ জন মুসল্লি তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদের নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য বলা হয়।