গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যায় গড়ছে নতুন রেকর্ড। এই মুহূর্তে মৃত্যুর সংখ্যা কমা ছাড়া দেশের মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। বরং বিশ্বে করোনা আক্রান্তের তালিকায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বে ৩৭তম স্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ। এমনই তথ্য দিচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী তথ্য দেওয়া ওয়ার্ল্ডোমিটার।
তাদের ওয়েবসাইটে করোনা আপডেটে দেখা যায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৯২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্বে আক্রান্তের তালিকায় ৩৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তারপরেই আছে দক্ষিণ কোরিয়া।
১,২১৩,০১০ জন আক্রান্ত নিয়ে তালিকার সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যুর দিক দিয়েও শীর্ষে রয়েছে দেশটি (৬৯৯২৫ জন)। আর স্পেন রয়েছে দ্বিতীয়। ইতালির অবস্থান তৃতীয়।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ১৮৩ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪০৩ জন।
এদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন একজন।
এর আগের দিন সোমবার আক্রান্ত হন ৬৮৮ জন। ফলে দেখা গেছে দিন দিন বেড়ই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০ জন। আর এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ১০ হাজার ৮৫৯ জন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী। মৃতদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ পুরুষ এবং ২৭ শতাংশ নারী। যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ বয়সের ছিলেন ৪২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ছিলেন ২৭ শতাংশ।
এছাড়া, ৪১-৫০ বছর বয়সী ১৯ শতাংশ, ৩১-৪০ বছর বয়সী সাত শতাংশ, ২১-৩০ বছর বয়সী তিন শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে দুই শতাংশ মারা গেছেন।
করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ বিভাগ। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ৮ মার্চ।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট খোলা হয়েছে। গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, দোকানপাটে আনাগোনা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ যে বৃদ্ধি পাবে, এটি আমরা ধরেই নিতে পারি।’
করোনা রোগী যেন না বাড়ে সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবন-জীবিকা দুটোই পাশাপাশি যাবে। আমাদের ম্যান্টেড হলো যাতে রোগীগুলো অধিক চিকিৎসা পায়।’
উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। এদিকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০ মে থেকে ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিং মলগুলো শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে খোলা হবে।