গণবাণী ডট কম:
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার পর সেখানে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বন্ধের লক্ষ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মোতায়েন করা করা হয়েছে বাড়তি সৈন্য। এ নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে উদ্বেগ তৈরী হয়েছে। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র।
৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। এই ধারাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদ জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করে আসছিল কাম্মির। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। এই অনুচ্ছেদের সুবাদে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারতেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পেতেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার বিষয়টি বিজেপি’র পুরনো রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর একটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে এখন জম্মু এবং কাশ্মীর ‘ইউনিয়ন টেরিটরি’ বা কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হবে।
ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার ফলে বদলে গেল ৬৯ বছরের ইতিহাস। শুধু যে বিশেষ মর্যাদা হারাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর তা নয়। বিশেষ মর্যাদা’ হারিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। উপত্যকায় থাকবে না আলাদা সংবিধান ও পতাকা।
১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা। লোকসভা ভোটে এই দাবি মেটানোর অঙ্গীকার ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গতকালই কাশ্মীর বিষয়ক সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রকে জানিয়েছে ভারত। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের অবৈধ সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নষ্ট হবে।
পটভূমিটা অবশ্য তৈরি হচ্ছিল গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। অমরনাথের তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের জেরে নানা জল্পনা চলছিল উপত্যকা জুড়ে। গতকাল সব জল্পনার অবসান ঘটে। সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বেলা ১১টায় রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষর করা নির্দেশনামা পড়ে শোনান। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির আদেশবলে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটানো হলো। প্রত্যাহার করা হলো ওই ধারার অধীনের ৩৫ ধারাও। ৩৭০ ধারারই একটি অংশ হাতিয়ার করে পার্লামেন্ট এড়িয়ে এমন সংস্থান করল শাসক দল, যাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকল না বিরোধীদের। কারণ, ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। কিন্তু এই ধারারই ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে এই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই কাজ হাসিল করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও পার্লামেন্টে বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ওয়াকআউট করে বিজেপির শরিক দল জেডিইউ। আবার বিরোধী মায়াবতীর বিএসপি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের এমপিরা সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। সমর্থন আর বিরোধিতার মধ্যেই সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিল-২০১৯। পক্ষে ১২৫ এবং বিপক্ষে ৬১ ভোট পড়ে।
যেসব পরিবর্তন হবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে। একটি লাদাখ ও অন্যটি কাশ্মীর। এর মধ্যে কাশ্মীরে আইনসভা থাকলেও লাদাখে থাকবে না। গত সাত দশক ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে এই রাজ্যটি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত। ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞ কুমার মিহির জানিয়েছেন, কাশ্মীরের পুনর্গঠনের প্রস্তাবগুলো এখন পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেছেন, এর আগে সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের সুবাদে জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই জমির মালিক হতে পারতেন। এখন যে কেউ ঐ রাজ্যের জমি কিনতে পারবেন। কাশ্মীরে চাকরির জন্য এখন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারাও আবেদন করতে পারবেন। এতদিন কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেওয়া ছিল। ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পররাষ্ট্র, অর্থ ও প্রতিরক্ষার বিষয়টি আগের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে।
কুমার মিহির জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব এতদিন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় রাজ্যটিতে কেন্দ্রের সরাসরি শাসনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যটি পরিচালনা করবেন একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। কাশ্মীরের রাজ্য বিধানসভা গত কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রের যেসব আইনের অনুমোদন করেছেন, সেগুলো এখন সরাসরি কার্যকর হবে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলো এখন এই রাজ্যের জন্য সরাসরিভাবে প্রযোজ্য হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ কুমার মিহির আরো জানান, ভারতের দ্লবিধি কিংবা স্থানীয় পিনাল কোড-এর ভবিষ্যত্ নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা পার্লামেন্টকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রথা থাকবে কি না, সেটার প্রশ্নেও সিদ্ধান্ত নেবে ঐ দুটি প্রতিষ্ঠান। কাশ্মীরিদের দ্বৈত নয়, একক নাগরিকত্ব থাকবে, অর্থনৈতিক ও সাধারণ জরুরি অবস্থা কার্যকর যাবে, সংখ্যালঘুরা সংরক্ষণের আওতায় আসবেন এবং তথ্য অধিকার আইন কার্যকর হবে।
সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার
কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীরস পিপলস কনফারেন্সের দুই নেতা সাজ্জাদ লোন এবং ইমরান আনসারিকেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে গৃহবন্দি ছিলেন তারা। শ্রীনগরের বাড়ি থেকে মেহবুবাকে সরিয়ে নিকটবর্তী সরকারি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাবেন বলে গতকাল বিবৃতি দেন ওমর আবদুল্লাহ। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা গতকাল রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা উপত্যকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে : ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের অবৈধ সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নষ্ট হবে। পাকিস্তানি মিডিয়া জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে ইমরান খান এই সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এতে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্কের আরো অবনতি হবে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাজধানী শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোবাইল, টেলিফোন আর ইন্টারনেট সেবা আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আট হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে কাশ্মীরে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত সরকার। সোমরাতে রাতে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে কাশ্মীরের একটি সরকারি গেস্ট হাউজে নেয়া হয়। আগেই তাদেরকে গৃহবন্দি করা হয়েছিলো।
সেইসঙ্গে শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের ভাঙন শুরু
ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেছেন, কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে মূলত ভারতের ভাঙন শুরু হয়ে গেলো। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার।
তিনি বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ইতিহাসে আজ কালো দিন। এটা যদি জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে করা যায়, তা হলে দেশের অন্য রাজ্যগুলোর প্রত্যেকটার সঙ্গেই করা যেতে পারে।’’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘প্রথমে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া হবে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে, বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হবে, বিধানসভার ক্ষমতা সংসদের হাতে যাবে, সরকার সংসদে একটা প্রস্তাব আনবে, সেটাতে সংসদ অনুমোদন দেবে এবং রাজ্যটা আর থাকবে না। প্রত্যেকটা রাজ্যকে এই ভাবে ভেঙে দেওয়া যাবে, দুটো অথবা তিনটে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা যাবে।’’
এর পরেই আসে চিদম্বরমের সবচেয়ে কঠোর মন্তব্যটি। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার যদি এই পথেই এগোতে থাকে, তা হলে এখন থেকেই ভারতের ভাঙন শুরু হয়ে গেল।’’
পাকিস্তানের পরিবর্তে ভারতে যোগ দেয়া ভুল ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দিহান কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। গৃহবন্দী অবস্থা থেকে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরীরা এখন এমনটাই ভাবছে। মেহবুবা বলেন, ‘‘আমরা ভারতীয় সরকার ও ভারত বর্ষের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। মানুষ এখন ভাবছে পাকিস্তানে যোগ না দেয়াটা ভুল হয়েছে কিনা। ’’
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম দিন। ৩৭০ ধারা বাতিল করা অবৈধ ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত কাশ্মীরে ভারতকে দখলদার শক্তিতে পরিণত করবে। গোটা উপমহাদেশের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।’’
কাশ্মীরকে আরেক ফিলিস্তিন বানাচ্ছে বিজেপি: সিপিআইএম
ভারতের বামপন্থী সংগঠন সিপিআই(এম) এর নেতা টিকে রঙ্গরাজন বলেছেন, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরে আরেক ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করছে বিজেপি। বাতিলের দিনটিকে কালো দিন বলেও বর্ণনা করেন তিনি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
রঙ্গরাজন বলেন, ‘এটি একটি কালো দিন। ভারতীয় সংবিধান বিজেপি দ্বারা ধর্ষিত হলো। আপনারা জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের সাথে আলোচনাও করলেন না। সংসদ বাতিল করে দিলেন। সেখানে নির্বাচন দিতে চান না। আরো ৩৫ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করলেন। আপনারা আরেকটি ফিলিস্তিন তৈরি করছেন।’
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ বা বিশেষ মর্যাদা দেয় তা বিলোপ করার ঘোষণার পর কাশ্মীরে আরো মোতায়েন করা হয়েছে ৮ হাজার সেনা। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে সেখানে বাড়তি ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। সোমবার ভারতের উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, আসাম রাজ্য থেকে থেকে আকাশপথে ৮ হাজার সেনাকে কাশ্মীরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার প্রেক্ষিতে সেখানে পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শ্রীনগর শহরকে। শহর ছাড়া গ্রামীণ এলাকাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় পুলিশ চৌকি তৈরি করা হয়েছে।