নিজস্ব প্রতিবেদক, গণবাণী ডটকম, কাপাসিয়া:
বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের কারণে বে গাজীপুরের বেশিরভাগ এলাকা অধিক ঝুকিপূর্ণ (রেড জোন) হয়ে উঠলেও গাজীপুরের কাপাসিয়ার ৭টি গ্রামকে গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই এলাকায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমত আরা সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ও ৭নং ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামে প্রায় ৭হাজার লোক বসবাস করেন। গ্রামগুলো হলো- ৩নং ওয়ার্ডের দরদরিয়া, চৌড়াপাড়া ও কোটের টেক এবং ৭নং ওয়ার্ডের রায়েদ মধ্যপাড়া, মাহতাবপুর, বাঘেরহাট ও কালডাইয়া গ্রাম। এ ৭টি গ্রামে এখনো পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন নি। তাই সরকারী নির্দেশনার নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ৭টি গ্রাম এলাকাকে গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত কাপাসিয়ার ওই ইউনিয়নের ৭টি গ্রামে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী নিদের্শণা ও স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনকে নানা পরামর্শ দিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। গ্রীণ জোন এলাকার লোকজনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লোকজনের একস্থান হতে অন্য স্থানে অনুপ্রবেশ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত এলাকা ছেড়ে কেউ বাইরে যেতে বা বাহির থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। গ্রীণ জোন এলাকার কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের কঠোরভাবে আইসোলেশন নিশ্চিত করা হবে। আইসোলেশনের জন্য রায়েদ ইউনিয়নের প্রাতিষ্ঠাণিক মডিউল কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রীণ জোনের ওই ৭টি গ্রামের মানুষের মুভমেন্ট লক্ষ্য রাখতে ৪টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে কাজ করবে। নমূনা সংগ্রহের জন্য দুইজন টেকনেশিয়ান মাঠে কাজ করবে। সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিং করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, শিল্পাঞ্চল হওয়ায় গাজীপুরে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের হার অনেক বেশী। জেলার কিছু এলাকা বাদে এ জেলার অধিকাংশ এলাকা এখন ঝুকিপূর্ণ (রেড জোন) এ পরিনত হয়েছে। জেলার শহর ও হাটবাজার কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে আক্রান্তের হার বেশী। কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের কেউ এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। ওই এলাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ওই এলাকাকে গ্রীণ জোন হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।