গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার পার্ট-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি উধাও হওয়ার পর শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম।
নিখোঁজ কয়েদির নাম আবু বকর সিদ্দিক। আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগার লকআপের পর থেকে উক্ত কয়েদি নিখোঁজ। বহু খোজাঁখুজি করেও শুক্রবার বিকাল ৩টা পযর্ন্ত তাঁকে কারাগারের ভেতরে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে আবুল কালাম কারাগারে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেছেন।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিককে ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। তারপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারের পার্ট ২ তে বন্দি ছিলেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তাঁর সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।
কাশিমপুরের কারাগারের একজন কমর্কতা জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার অনেক বড় কারাগার। এখানে একটি মহিলা কারাগার ও একটি হাই সিকিউরিটি কারাগারসহ মোট ৪টি কারাগার রয়েছে। বিশাল এ কারাগারের কোথাও তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন। ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুজি শেষে পরদিন তাঁকে একটি ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এবারও তা হতে পারে।
কারাগারের অপর একটি সূত্র জানায়, কারাগারের দেয়ালে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও রং করার কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে বৃহস্পতিবার যে কোন সময় পালিয়ে যেতে পারেন আবু বকর।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি কারাগার কর্তৃপক্ষ ঢাকায় কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি দেখছি। আমার প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।