গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ চিত্রশিল্পী ও ভাষাসংগ্রামী মুর্তজা বশীর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লৈাহে— রাজেউন)।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। ৮৮ বছর বয়সী এই চিত্রশিল্পীর ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার পাশাপাশি হৃদরোগও ছিল। শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন গ্রহণের হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
মুর্তজা বশীর বহু ভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে। তিনি ছিলেন একাধারে চিত্রশিল্পী, কবি, লেখক ও গবেষক। তার জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট। তিনি নবকুমার ইন্সটিটিউশনে, ঢাকা গভর্নমেন্ট ইন্সটিটিউট অব আর্টস (বর্তমানের চারুকলা ইন্সটিটিউট) এবং কলকাতার আশুতোষ মিউজিয়ামে পড়াশোনা করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
১৯৫৫ সালে ঢাকার নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রইং শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮০ সালে একুশে পদক ও ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পদক পান।
মুর্তজা বশীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার পৃথক শোকবার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মুর্তজা বশীরের মৃত্যু দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার সৃষ্টি ও কর্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
অপর এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের চিত্রকলার বিকাশে মুর্তজা বশীর যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্ররেণা যুগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।