গণবাণী ডট কম:
লিবিয়া থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে ১৬৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মিজদাহ শহরে আক্রমণের শিকার জীবিত ৯ জন বাংলাদেশিও।
গত মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে পাচারকারীদের গুলিতে ৩০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
ওই হামলায় গুরুতর আহত হন ১১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী। তারাও দেশে ফেরত এসেছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই তথ্য জানিয়েছে।
৩০শে সেপ্টেম্বর বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে এই বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে ১০০ জন বিপন্ন অভিবাসী ছিলেন।
মিজদাহ’র আক্রমণের শিকার বাংলাদেশি অভিবাসী মোহাম্মদ সৈয়দ খান বলেছেন, “আমি এই ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। এটা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মত। আমার শরীরে গুলি লাগে এবং চার মাস পর আমি দেশে ফেরার মত সুস্থ হই। এখনো অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হন নি এবং আমরা এখনো আতঙ্কিত।”
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন আহত বাংলাদেশি নাগরিকের বয়ানের ভিত্তিতে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মারা যাওয়া ২৬ জন সহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি ও কিছু সুদানি নাগরিক প্রায় ১৫ দিন ধরে ঐ অপহরণকারী চক্রের হাতে আটক ছিলেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায় আটক করে রাখা হয়েছিল তাদের।
আইওএমের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশে ফেরার পর এই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা, কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ফলো-আপের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।
দেশে ফেরত আসা অভিবাসীদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে আইওএম বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা প্যাকেজও দিচ্ছে।
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, “কোভিড-১৯ সমগ্র বিশ্বের অভিবাসী কর্মীদের বিপদকে বাড়িয়ে দিয়েছে।” খবর : বিবিসি।