গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে বেসরকারী থেকে সরকারি কলেজে আত্তীকৃত তিনটি কলেজের শিক্ষকরা সাত দফা দাবিতে মানবন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজ, কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ ও শ্রীপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের শিক্ষকরা মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন।
সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি, গাজীপুর শাখার সভাপতি ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইফতেখারুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠণটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহীনূর ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মোহসীন, সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সাদেক প্রমূখ।
দাবী সমূহ
১) প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের জন্য প্রজ্ঞাপন জারির তারিখে কর্মরত সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে এবছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।
২) প্রতিষ্ঠানিক ত্রুটির জন্য যথাযথভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীকে আত্তীকরণ বঞ্চিত করা ও হয়রানী করা যাবে না।
৩) মন্ত্রণালয়ের আত্তীকরণের যাচাই-বাছাইকাজে বেসরকারি কলেজের নিয়োগ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি যারা পূর্বে আত্তীকৃত হয়েছে তাদেরকে এবং বর্তমানে যারা আত্তীকৃত হতে যাচ্ছে তাদের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে
৪) সদ্য সরকারিকৃত কলেজ সমূহ থেকে সংযুক্তি আদেশপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবলম্বে প্রত্যাহার এবং শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। শূণ্যপদ সমূহে পিএসসি কতৃক প্রভাষক (নন-ক্যাডার) নিয়োগ দিতে দিবে।
৫) এনাম কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীন কলেজ শিক্ষক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি পদ ও পদসোপান সৃজন করে পদোন্নতি দিতে হবে।
৬) যোগদানের তারিখ থেকে চাকুরি শতভাগ গণনা করে কার্যকর চাকুরিকাল নির্ধারণ এবং পদোন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রেই তা কার্যকর করতে হবে।
৭) সরকারি চাকুরি নীতিমালা অনুসরনপূর্বক আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরি বদলীযোগ্য করতে হবে।
সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি, গাজীপুর শাখার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. ইফতেখারুল আলম বলেন, বেসরকারী থেকে আত্তীকরণের জন্য কয়েকবছর ধরে আমাদের কলেজগুলোর কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাইয়ের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। কলেজ সরকারি হলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা আগের মতোই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর মতো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সরকারিকরণের সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে অবসরে চলে গেছেন। উপরন্তু যাদের বয়স ৫৯ বছর হয়েছে তাদের নাম কর্তন করে পদ সৃজনের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, যা অযৌক্তিক, অমানবিক, বৈষম্যমূলক ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এসব থেকে দ্রুত মুক্তি চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।