গণবাণী ডট কম:
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার (৪ নভেম্বর) ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। তালিকা অনুযায়ী আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৭ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
গত সোমবার (২ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়।
সাধারণ ছুটি :
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১লা মে মহান মে দিবস, ৭ মে জুমাতুল বিদা, ১৪ মে ঈদ উল ফিতর, ২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২১ জুলাই ঈদ উল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩০ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন।
নির্বাহী আদেশে ছুটি :
আগামী বছরের ২৯ মার্চ শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ মে শবে কদর, ১৩ ও ১৫ মে ঈদ উল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২০ ও ২২ জুলাই ঈদ উল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ২৯ আগস্ট আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
ঐচ্ছিক ছুটি :
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) :
১২ মার্চ শবে মেরাজ, ১৬ মে ঈদ উল ফিতরের তৃতীয় দিন, ২৩ জুলাই ঈদ উল আজহার তৃতীয় দিন, ৬ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব):
১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ২১ মার্চ শিবরাত্রী ব্রত, ২৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৯ এপ্রিল মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ৬ অক্টোবর মহালয়া, ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা।
ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিস্টান পর্ব) :
১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ১ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ৪ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব) :
২৮ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ২৩ জুলাই আষাঢ়ি পূর্ণিমা, ২০ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২০ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
ঐচ্ছিক ছুটি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য :
১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যাবে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।