গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে এক বাড়ীর ম্যানেজারকে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণের ৮ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি মোঃ খোকন মোল্লা (৪০)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাতপুর থানার কুলিয়ারচর গ্রামের মোঃ আজিজুল হকের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন পশ্চিম গাজীপুরা এলাকার নতুন মন্ডলের গলি, হোল্ডি নং-২৪/৪ এর মোঃ ফারুক হোসেনের বাড়ির ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, শেরপুর জেলার নকলা থানার চর বসন্তিপুর গ্রামের কৃতৃব উদ্দিনের ছেলে মোঃ মজনু (২৭), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার তুলারামপুর গ্রামের মো: কামরুলের ছেলে মো: আল আমিন (২৭), নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার পশ্চি, সোনা পাতিল আরিয়া পাড়ার মো: ইউসুফের ছেলে মোঃ স্বপন (২২), গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পাশ্চিম থানার খরতৈল এলাকার আবু তালেবের ছেলে মোঃ ফয়সাল (৩১) ও একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে মোঃ ওয়াসিম (৩৪)।
আজ বুধবার বিকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি)এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা অপরাপর আসামী স্থানীয় মামুন বাহিনীর প্রধান মামুনসহ অন্যরা মোঃ খোকন মোল্লাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। আসামীদের দাবী উক্ত এলাকায় থাকতে হলে তাদের টাকা দিতে হবে। কিন্তু খোকন মোল্লা টাকা না দেওয়ায় মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন অন্যান্য সহযোগীদের সাথে নিয়ে গত ৭ জুন রাত অনুমান সোয়া ৮টার দিকে খোকন নামাজে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বাহির হলে আসামীগন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জন একই উদ্দেশ্য তাকে ইজিবাইকে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে আসামীলা খোকন মোল্লাকে লাঠি দিয়ে মারধর, কিল ঘুষি দিয়ে আহত করার পর বলপূর্বক আটক রাখে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে খোকন মোল্লার আত্মীয়স্বজন বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা মামুন বাহিনীকে পাঠায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান হয়, মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন তার দলবলের সহযোগীতায় খোকন মোল্লার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা বাড়ি ভাড়ার ২০ হাজার টাকা মৃত্যর ভয় দেখাইয়া জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ খোকন মোল্লা জিএমপির গাছা থানাধীন নিলয় এলাকা থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে এবং অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামীদেরকে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান হয়, গ্রেফতারের সময় আসামী ফয়সালের কাছে ৭ হাজার টাকা এবং আসামী আল-আমিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। পরে আজ বিকালে আসামীদের পুলিশ হেফাজতে এনে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার পর আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।