গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর বনমালা এলাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমি নামের গৃহকর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন এক বৃদ্ধ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিন পর অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজার থেকে ঘটনায় জড়িত ওই বৃদ্ধ মো: সৈজ উদ্দিন খান (৭০) কে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো: সৈজ উদ্দিন খান ঝালকাঠির নাগপাড়া গ্রামের মৃত তুরাব আলী খানের ছেলে। আজ দুপুরে টঙ্গীতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারি উপ কমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুর রহমান।
হাসিবুর রহমান জানান, ৭/৮ বছর আগে নিহত স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমি ধর্মান্তরিত হন। পরে তিনি টঙ্গীর বনমালা এলাকায় বিভিন্ন মেসে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এসময় অভিযুক্ত বৃদ্ধ সৈজ উদ্দিনের সঙ্গে ভিকটিমের ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই সুযোগে বৃদ্ধ ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তা নাকচ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সৈজ উদ্দিন। চলতি বছরের গেল ১৬ মে সকালে ভিকটিম সুমি বাসা থেকে কাজের জন্য বের হলে তাকে ধারালো চাকু দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন তিনি। পরে পথচারী ও স্থানীয় লোকজন সুমিকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আর কোন স্বজন না থাকায় এ ঘটনায় ভিকটিমের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে তুলি (১৩) বাদি হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সৈজ উদ্দিনের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। পরে গেল বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার গৌবিন্দপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে সৈজ উদ্দিন খানকে গ্রেপ্তার এবং হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।