গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭ জন মানুষ মারা গেছেন, যা গত এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ গত ৯ই মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু ঘটেছিল।
তারপর থেকে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম ছিল, যা গত কিছুদিন ধরে আবার একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭ জনসহ দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ হাজার ১১৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ হাজার ৪৩৬ জন মানুষ শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৩ হাজার ১১৮ জন।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৪৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জনে। এর আগের দিন ১২ জুন দেশে ১ হাজার ৬৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সেই তুলনায় আজ করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেক বেড়েছে।
রবিবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন। এই সময়ে ১৮ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে ১৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৯, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৮, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে চারজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় ২ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৯ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
দেশে গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে সীমান্ত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, জুন মাসের ৪ তারিখের পর থেকে দ্রুত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় এখন সেখানে সাত দিনের লকডাউন চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনার রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।