গণবাণী ডট কম:
মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রথমবারের মতো দুইশ ছাড়িয়ে গেল। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি ২০১ জন মানুষ মারা গেছেন।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ১.৬০ শতাংশে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ হাজার ৬৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে।
দেশে করোনাভাইরাসের চলমান ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই নতুন শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩১.৩২ শতাংশ।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ্যতার হার ৮৭.০০ শতাংশ।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা একশো’র উপরেই থাকছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্যে আরও জানা যাচ্ছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১৯জন জনই পুরুষ। বাকি ৮২ জন নারী।
এদের মধ্যে বেশিরভাগ অর্থাৎ ১৮৮ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাদের মধ্যে ১২ জন বাড়িতে এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন খুলনা জেলায়। সেখানে আজ ৬৬জন মারা গেছেন। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৪৬জন।
এরপরেই রয়েছে ঢাকা। ঢাকায় মারা গেছেন ৫৮জন যা আগের দিন ছিল ৪৫জন।
এছাড়া চট্টগ্রামে ২১, রাজশাহীতে ১৮, রংপুরে ১৪, সিলেটে ০৯, ময়মনসিংহে ০৮ এবং বরিশালে ০৭ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সরকারের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে এখন সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতে প্রথমে শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দ্বারা ঘটছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ১লা জুলাই থেকে আরোপ করা এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে, যা ১৪ই জুলাই পর্যন্ত চলবে। খবর : বিবিসি।