গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী এলাকায় দুষ্কৃতিকারীর আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী মৃত্যুর পর হত্যা মামলা দায়েরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং চার আসামীকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। পরে আসামীদের মধ্যে একজন বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ অলিউল্লাহ (৪৩)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী এলাকার মোঃ মোরশেদ আলমের ছেলে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হল, সুমন ওরফে নূর মোহাম্মদ সুমন (২৩), মোঃ ফাহিম ওরফে নাঈম (২১), আব্দুর রহমান উরফে এসআই টুটুল (১৯) ও মোঃ কবির হোসেন (২৮)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, নিহত অলিউল্লা গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী বাজারে লেডিস পার্ক নামক একটি কাপড়ের দোকানে ব্যবসা করেন। গত ২০ জুলাই রাতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় ফিরার পথে মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে কতিপয় ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। এসময় অলিউল্লাহ একজনকে চিনে ফেলায় অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অলিউল্লাহর শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে ২১ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই রাতে নিহতের বড় ভাই মো: তুহিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মহানগর পুলিশের সদর থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, মামলা দায়ের করার পর জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম (বিপিএম বার, পিপিএম বার) এর নির্দেশনায় জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো: জাকির হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী সুমনকে গত ২৬ জুলাই রাত দুইটার দিকে মহানগরের সদর থানাধীন এটিআই গেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিমুলতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই রাতে মোঃ ফাহিম ও ও শিমুলতলী শান্তিবাগ থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামী কবির হোসেনকে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীদের মধ্যে সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২৭ জুলাই গাজীপুর মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দীতে সুমন হত্যাকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে এবং অপর আসামীর কার কি ভূমিকা ছিল সেসব বিষয়ে বর্ণনা করেন। ছিনতাইকালে একজনকে চিনে ফেলার কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়।