গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর নগরবাসীকে কে বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি। বলেছেন,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর, তার সহযোগী রানা,মনির গংদের হাতে জিম্মি ছিলো। তাদের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারীতায় কোণঠাসা হয়ে পরেছিলো পুরো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।
তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ৫টি কোম্পানি থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্ল্যান বাবদ ২কোটি ৬০ লক্ষ টাকা আদায় করেন এবং সেই টাকা কোনাবাড়ির একটি শাখা ব্যাংকে জমা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে ও তার বাড়ির কর্মচারীদের দিয়ে তিনি ওই টাকা উত্তলোন করে আত্মসাৎ করেছেন। এমন ২৪টি দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ তদন্ত কমিটির হাতে। খুব শীঘ্রই বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিচারীক কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে ৮হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু এই টাকার সুষম বন্টন সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে করা হয়নি। যেখানে ১০ বছর পরে ড্রেন তৈরি করলেও নগরীর কোন সমস্যা হতো না, সেই সকল জায়গায় তিনি উন্নয়ণ কাজ শুরু করেছেন। যদি সেই টাকার সুষম বন্টন করা হতো তাহলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আরো দ্রুত আধুনিক নগরীতে পরিনত হতো।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে সামাজিক বিচার হয়ে গেছে তার। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তিকারিকে কখনোই জাতি ক্ষমা করবে না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটুক্তি তিনি করেছেন, আমি সাধারণ নাগরিক হিসবে তার রাষ্ট্রীয় বিচার শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আলম এর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ সদস্য বেগম শামসুন্নাহার ভূইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আফজাল হোসেন সরকার রিপন, প্যানেল মেয়র এড, আয়েশা আক্তার, কাউন্সিল হাজী আব্দুল কাদির মন্ডল, শাহজাহান মিয়া সাজু, কাজী আবু বক্কর সিদ্দিক, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোরশেদ আলম সরকার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ ই আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান এবং গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়।