গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তার মাওনা আলহেরা হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেয়ার কারণে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক আয়াকে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আয়ার নাম নাসরিন আক্তার। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার ভাদুরীপাড়া গ্রামে। তার স্বামী কামরুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। নাসরিন স্বামীকে নিয়ে মাওনার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড (প্রশিকামোড়) এলাকার জসিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বর্তমানে অসুস্থ নাসরিন আক্তার টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না।
জানা যায়, নাসরিন আক্তার পেটের দায়ে গত ২ সেপ্টেম্বের মাওনা চৌরাস্তার মাওনা আলহেরা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আয়া হিসেবে যোগদান করেন।গত ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ফ্লোর মুছার কাজ করার সময় তিনি একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এসয় ক্লান্তির কারণে হঠাৎ তার মাথা ঘুরছিল। এ অবস্থায় কাজ সেরে তিনি ওই ফ্লোরের একটি বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসেছিলেন। তার বসে থাকা দেখেই ছুটে যান হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আবুল হোসেন। তাকে গালাগাল করে সজোরে তার পেটে লাথি মারেন ডা. আবুল হোসাইন। নাসরিন ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন। আরো লাথি দিতে উদ্যত হলে উপস্থিত অন্যরা ডা. আবুল হোসাইন নিবৃত্ত করেন। পরে মানুষজন জড়ো হয়ে হাসপাতালের মালিককে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শনিবার রাতে মালিকের নির্যাতনের শিকার নাসরিন সাংবাদিকদের জানান, ওই হাসপাতালে তিনি হাসপাতালের মালিক ডা. আবুল হোসাইন তাকে বিনা কারণে লাথি মেরেছে। বিষয়টি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছে।।
নাসরিনের স্বামী কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি অনেকে জেনে যাওয়ায় ডা. আবুল হোসাইন আরো ক্ষিপ্ত হয়েছেন। নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে হাসপাতালের লোকজন।
অভিযুক্ত ডা. আবুল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। একটি মহল তার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবে।