গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর বড়বাড়ী এলাকায় হাজী ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে খালি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী একটি কাভার্ডভ্যানে গ্যাস দেওয়ার সময় বিস্ফোরণে ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জিএমপি গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আবদুল্লাহ ইবনে সাইদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন ।
মামলায় আসামীরা হলো, হাজী ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনের চেয়ারম্যান মো: সালেহীন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মামুনুর রহমান, পরিচালক মো: মোজাম্মেল হক সরকার, শাহরিয়ার মাহমুদ সিয়াম, নুসাইবা আলীম ঐশি, উষা শিখাসহ খালি সিলিন্ডারবাহী কাভার্ডভ্যান (চট্টমেট্টো-ট-১১-২২৫৭) এর মালিক (নাম জানা যায়নি)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫/৬জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর বড়বাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হাজী ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে ঝুঁকিপূর্ণ মেশিনের মাধ্যমে গ্যাস রিফুয়েলিং করার সময় কাভার্ডভ্যানবাহী সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ফিলিং ষ্টেশন কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ক্রুটিযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার, ক্রুটিযুক্ত ডিসপেন্সার দ্বারা ক্রুটিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারীরা হলো, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আল-আমিন (২৪), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ সুলাইন গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে মিঠু (২৬), চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়ান নগর নাজিম উদ্দিনের ছেলে পারভেজ (৩১) ও ময়মনসিংহ সদরের সাইদুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৫)।
এছাড়া এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মিত্রবাটি গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ক্রুটিযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার, ক্রুটিযুক্ত ডিসপেন্সার দিয়ে ক্রুটিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ করা অবৈধ। এভাবে অবৈধ গ্যাস সরবরাহকারী আরো যেসব সিএনজি স্টেশন আছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হবে।