নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর) :
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জনবসতিপূর্ণ দুইশত বছরের পুরনো একটি লাল মাটির টেকের মাটিতে হঠাৎ ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি পরিবার তাদের ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। ৭টি পরিবার বড় ধরনের ভূমিধসের আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয়লা জানায়, গত রোববার সকালে কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর গ্রামের শিক্ষক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও তাদের প্রতিবেশীর বাড়ির আঙিনায় এই ফাটল দেখা দেয়।
মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, গত পরশু (রোববার) সকালে হঠাৎ করেই এ ফাটল দেখা দেয়। বসতবাড়ির উত্তর দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে প্রায় ৫শ ফিটের উপরে দীর্ঘ হবে এই ফাটল। বসত ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ায় এখন আমরা এই ঘরে থাকা ছেড়ে দিয়েছি। এই ফাটলের ফলে আমাদের থাকার ঘরসহ প্রায় সাতটি পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এই ফাটলের গভীরতা প্রায় ৪০ ফুটের উপরে। এই লাল মাটির টেকে আমাদের থাকার ঘরগুলি সব মাটি দিয়ে তৈরি। কখন কি হয় ভয়ে আমরা এই মাটির ঘরে এখন থাকি না। বড় কোন ভূমিধসের আতঙ্কে আছি আমরা। তিনি আরো বলেন, ওই সকল ঘরে অনেক আসবাবপত্র রয়েছে যা এখনো আমরা সরাতে পারেনি। বড় কোন ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ভূতত্ত্ববিদদের সহায়তা কামনা করছি।
বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউজ্জামান বাবলু বলেন, ভূমি ফাটলের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গিয়ে দেখেছি ৪০০ ফুটের উপরের লম্বা একটি ফাটল দেখা দিয়েছে এই লাল মাটির টেক জমিতে। কয়েকটি বাড়ির আঙিনার মাঝখান দিয়ে লম্বালম্বিভাবে গিয়েছে এই ফাটল এবং কয়েকটি বসত ঘরের পাশ দিয়ে এই ফাটলটি রয়েছে। কয়েক শত বছরের এই লাল মাটির টেকটিতে বর্তমানে সাতটি পরিবার বাস করে। এখন তারা ভূমিধসের আতঙ্ক মধ্যে রয়েছে। এখন ভূতত্ত্ববিদদের দিয়ে এই লাল মাটির টেকটি পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। বড় ধরনের কোনো ভূমিধসের সম্ভাবনা আছে কিনা। এই বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ভূমিতে ফাটল হওয়ান ঘটনাটি জানার পর ওইখানে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। আমি ভূমিতে ফাটলের ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি তারা জেনেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।