গণবাণী ডট কম:
মুসলিম বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে গাজীপুরের টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে আগামী মধ্য অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়ে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। এ জন্য রোববার গাজীপুর মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জোড় আয়োজনের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার স্বাক্ষরিত অনুমতি পত্রে বলা হয়েছে, নিজামুদ্দিন বিশ্ব মার্কাজের অনুসারী তাবলীগের মূলধারার আহলে শুরার পক্ষে কাকরাইল মসজিদ, ঢাকার আবেদনের প্রেক্ষিতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগামী ১৩-১৭ অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদান করা হলো। অনুমতির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয়া হয়েছে।
তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারী মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন জানান, প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনের প্রস্ততির জন্য ইজতেমার নির্ধারিত সময়ের আগে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পুরানা তাবলীগ সাথীদের অংশ গ্রহণে পাঁচ দিনের জোড় আয়োজন করা হয়ে থাকে। জোড় এ মুলত সারাদেশের মুরুব্বী ও পুরানা সাথীরা অংশ গ্রহণ করেন। আগামী ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর এ ৫দিন সাদ অনুসারীদের জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো জানান, জোড় আয়োজনের জন্য বিশ্ব তাবলীগের নিজামুদ্দিন বিশ্ব মার্কাজের (মাওলানা সাদ) অনুসারী
অংশের আহলে শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেছিলেন। রোববার আমরা অনুমতি পেয়েছি। গত কয়েক বছর ধরে এ জোড় ইজতেমা ময়দানের বাইরে আয়োজন করা হত। এবার ময়দানে আয়োজনের অনুমতি দেয়ায় তিনি সরকারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের জোড়ে লক্ষাধীক তাবলীগের পুরানা সাথী অংশ নিতে আসবেন। তাদের মধ্যে ভারতের মেহমানও থাকবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইজতেমায় বিশ্ব তাবলীগের আমীর মাওলানা সাদ এর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা মাওলানা সাদ পন্থী ও মাওলানা জোবায়ের পন্থী এ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এরফলে গত কয়েক বছর যাবত বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সূত্র জানায়, সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আগামী ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, প্রতি বছরই জোড় আয়োজন করা হয়ে থাকে। একপক্ষ আবেদন করেছে, আমরা সবদিক বিবেচনায় নিয়ে অনুমতি দিয়েছি। সামনে জাতীয় নির্বাচন এজন্য আমরাও চাই এধরণের বড় জমায়েত আগেই শেষ হয়ে যাক। আমরা তাদের সব রকম সহায়তা দিব। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবে জোড় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।