নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সাফাইশ্রী এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি মঙ্গলবার দুপুরে এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন উপলক্ষে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহ্ফুজুল কাদের, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক, কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধান প্রমুখ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে র্বজ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন এটাই প্রথম উদ্যোগ। কাপাসিয়া সদরের সাফাইশ্রী গ্রামে বানার নদের তীর ঘেষে প্রায় দেড় বিঘা সরকারি জমির উপর সাত বছর আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও শ্যামল বাংলা কৃষি ফার্মের সম্মিলিত অর্থায়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, কাপাসিয়া উপজেলা সদরের সকল বাসা-বাড়ি ও হাট বাজারের ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে এ কেন্দ্রে আনা হবে। বর্জ্যের সাথে আশপাশের খাল বিলের কচুরিপানা, লতাপাতা ও গরু ছাগলের বিষ্ঠার মিশ্রণ ঘটিয়ে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। পরিবেশ বান্ধব এ সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং মাটি ও মাটির গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বিষযুক্ত খাবারের হাত থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা সুস্থ-সবল জাতি গঠন করতে পারবো। শহরেও থাকবে না কোন দুর্গন্ধ। সকল আবর্জনা নিয়ে আসা হবে এই জৈব সার তৈরির কারখানায়।