গণবাণী ডট কম:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম।’ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট: এ কনফাইনড চ্যাপ্টার অফ রুল অফ ল’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সে ছিল একজন ধূর্ত প্রকৃতির লোক, তবে তার সাহস কম ছিল। সে খুনিদেরকে সামনে দাঁড় করিয়ে নিজে পেছনে থাকতো। তার মূল পরিকল্পনা ছিল খন্দকার মুসতাক, ফারুক রশিদদের মতো খুনিদের এক কথায় হটিয়ে দিয়ে নিজে দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া। সে সেভাবেই সে তার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। খন্দকার মুসতাকও ছিল ধূর্ত প্রকৃতির। সে বুঝতে পেরেছিল এ ধরনের এক একটি অধ্যাদেশ জারি ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না করলে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। খুনের নেপথ্যে থাকা অপরাধীরা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করে দেখেনি যে দেশকে তারা কি ধরনের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসনে বিশ্বসাক্ষী। তিনি বৈধ পন্থায় এই কালো আইন (ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ) মোকাবিলা করেছেন।’
দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অবস্থা সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করানোর সাহস শেখ হাসিনার আছে, সে কোন দলের সেটা বিষয় নয়। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অনেকে হৈ চৈ সৃষ্টি করছেন, কিন্তু যারা এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে দল থেকে সে সব লোকদের উৎখাত করার সৎ সাহস তাদের নেই।’
জোট সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও জোট নেতৃবৃন্দ ড. এনামূল হক, আজিজুল হাকিম, আমিরুল হক ও কেরামত মওলা।