গণবাণী ডট কম:
ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুলে’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরা প্রস্তুত জানিয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, উপকূলীয় উপজেলাগুলো সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করে জনগণেকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদী-খালে থাকা নৌযানগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সভায় এ কথা জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে ২৭০টি আশ্রয় শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১২৫২টি স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ফাঁকা করে রাখা হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার জনগণকে শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ কবলিতদের সহায়তায় ১১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা, আটশ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৭ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, পানীয় জল, ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছে। ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও রেডক্রিসেন্ট বাহিনী, ৮৫টি মেডিকেল টিম, নৌ ও স্থলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একইভাবে পুলিশ, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, র্যা ব ও বিজিবির পক্ষ থেকেও উপকূলীয় এলাকায় বুলবুল মোকাবেলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসমেলায় অংশগ্রহনেচ্ছু পূর্ন্যার্থীরা সম্ভাব্য দুর্যোগের কারণে যাত্রা বন্ধ করেছেন। এর আগে জেলা প্রশাসন থেকে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। এর আগে দুপুরে উপকূলীয় সব উপজেলায় নির্বাহী অফিসারগণ প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন।