গণবাণী ডট কম:
হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত ১২১ শিশুর মধ্যে সোমবার রাতে মুক্তি পেল টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২০ শিশু। বাকী এক শিশু গত রবিবার আদালতের আদেশ পৌছানের আগেই ৬ মাসের সাজা শেষে মুক্তি পেয়েছে।
জানা গেছে, টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট নিবাসী শিশুর সংখ্যা ছিল ৯৭৯ জন। এ বছরের ৩ মে থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হবার পর ১২১ শিশুকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পারিচালিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ মাসের সাজা শেষে গত রবিবার মুক্তি পেয়েছে একজন। বাকি ১২০ জনের মধ্যে ২৮ জনের বয়স ছিল ১৭ বছর। ২৬ জনের বয়স ১৬ বছর। ২০ জনের বয়ষ ১৫ বছর, ১৬ জনের বয়স ১৪ বছর, ১১ জনের বয়স ১২ বছর। ১৩ বছর বয়সী আছে ৭ জন। বাকি ১২ জনের বয়স ৮ থেকে ১১ বছর।
মুক্তি পাওয়া শিশুদের মধ্যে ১২ বছরের নিচে থাকা ১১ শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের শিশু আদালতের মাধ্যমে জামিন দেওয়া হয়েছে।
শিশু আইন অনুযায়ী, অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধে জড়িত শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতেই হবে। কিন্তু এ আইন অমান্য করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত শিশুদের দণ্ড দিয়েছে । রযাা বের র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত দন্ডিত এমন ১২১ শিশুকে রাখা হয়েছিল গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। বিষয়টি গত ৩১ অক্টোবর আদালতের নজরে আনা হলে আদালত ওই দিনই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। সোমবার সেই আদেশের কপি টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের হাতে পৌঁছা মাত্রই মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সোমবার রাত ৯ টার দিকে শিশুদেরকে যার যার অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেয় শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ এহিয়াতুজ্জামান সাংবিাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশটি আমরা সোমবার হাতে পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে থাকা ১১ শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তাদের সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ৬ মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিশু আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।