গণবাণী ডট কম:
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম তরিকুল ইসলামের নির্দেশনায় গাজীপুরের টঙ্গী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান। এ সময়ে “কেবল টেলিভিশন নেটওর্য়াক পরিচালনা আইন, ২০০৬ “এবং “কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০১০” এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে রুপান্তর ডিজিটাল কেবল লিমিটেড এবং স্যাটেলাইট কানেকশনকে কে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ টাকা এবং টঙ্গী স্যাট সুপারভিশনকে ১ লক্ষ টাকা মোট ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় নিমাইপাল, সুপারিনটেনডেন্ট (লাইসেন্স), বিটিভি এবং আনসার সদস্যরা তাকে সহায়তা করেন।
অপরদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট , কালিয়াকৈর ইশতিয়াক আহমেদ l আদালত পরিচালনাকালে ৫টি করাত কলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যব্দ করে বন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় ঔষধ আইন ১৯৪০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান। এসময় বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৪ টি ফার্মেসিকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ড্রাগ ইন্সপেক্টর এবং আনসার সদস্যরা সহায়তা করেন।
এছাড়া গাজীপুর সদর নানদুয়াইন এলাকায় পোল্ট্রি ও ফিশ ফিড তৈরির কারখানা ”দি বস্ এগ্রো প্রা. লি: এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস।
কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই এটি প্রায় আড়াই বছর ধরে চলমান। পরিবেশ ভীষণ নোংরা। প্যাকেজিং লেবেলিং এ ব্যাচ নং, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎদনের তারিখ, নিবন্ধন নং (প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইসেন্সই) নেই। নামেমাত্র একটি ল্যাব আছে কিন্তু কোন কার্যক্রম নেই। কোন নিয়ম না মেনে স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে ফিড গুলো ও বস্তাগুলো ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন হতে পারে বলে প্রসিকিউশন কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার জানান। এসব কারণে মৎ খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর ২০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে এবং বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার এ এফ এম হাসিবুল হাসান এর সহযোগিতায় মোট ৪ টি পোল্ট্রি ফিডের নিয়মানুযায়ী স্যাম্পলিং করা হয়। এগুলো অন্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য টেস্টের জন্য বি এস টি আই, ঢাকা ও সায়েন্স ল্যাব ঢাকাতে প্রেরণের ব্যবস্হা করা হয়েছে।