কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মাদকের আখড়া থেকে চিহ্নিত ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। এতে চার পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সুত্রে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের বাড়ীতে মাদকের বড় চালান আদান-প্রদান হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আড়ালিয়া টেকপাড়া গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটক করে। এসময় অপর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আড়ালিয়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে কবির হোসেন (২৯), একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে সোহাগ (২৪) ও তাদের সহযোগীরা দা, লাঠি, কোদাল, শাবল, ইটের টুকরা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আটককত সাইফুলকে ছিনিয়ে নেয়। এতে পুলিশের সাথে মাদক কারবারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় চার পুলিশসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। এ খরব আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শত শত লোক একত্রিত হয়ে পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে এবং মাদক ব্যবসায়ী অন্যান্য আসামীদের বাড়ীতেও হামলা করে। পরে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতরা হলো, কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাসুদ রানা, কনস্টেবল মোজাম্মেল হক, মোঃ মামুন, রেজাউল হক এবং গ্রামবাসীর মধ্যে জহিরুল ইসলাম ঝিকু। আহতদের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশের ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। তবে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের পিতা রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান আসামীদের মধ্যে সোহাগ একটি হত্যা মামলার আসামী ও কবিরের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।