গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর সারদাগঞ্জ এলাকায় লাশ মর্গে পাঠানোর পূর্বে পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার খাঁ-পাড়া এলাকার মোঃ আব্দুস সোবাহান এর ছেলে। তিনি কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ (৪নং ওয়ার্ড) জামাল কাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
জানা যায়, রবিবার বেলা ১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ডিউটি অফিসারের মোবাইল ফোনে খবর আসে জাহাঙ্গীর আলম তার ভাড়া বাড়িতে অজ্ঞাত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খানের নির্দেশে থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহাবুব সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে স্হানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি বাড়ীর মেইন কেচি গেইটের তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে জাহাঙ্গীর আলমের রুমের দরজা ভাঙ্গিয়া বাথরুম হতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। বিষয়টি জিএমপির কোনাবাড়ি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আহসানুল হক ও কাশেমপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান হয়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নেয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ীতে উঠানোর সময় হঠাৎ করে মৃতদেহের গলার মধ্যে গড়গড় শব্দ করে ওঠে। তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে এসআই মোহাম্মদ মাহাবুব দ্রুততার সাথে জাহাঙ্গীর আলমের বুকে চাপ দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করেন। পরে দ্রুতগতিতে তাকে পুলিশের গাড়ী যোগে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান জাহাঙ্গীর আলম এর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভাল। কাশিমপুর থানার এসআই মোহাম্মদ মাহাবুবের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার কারনে জাহাঙ্গীর আলম জীবন ফিরে পেলেন। তিনি বর্তমানে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।